একজন আদর্শ শ্রেণি শিক্ষকের গুনাবলী, দায়িত্ব ও কর্তব্য হলো দৃঢ়চেতা, উত্তম নৈতিক চরিত্রের অধিকারী,নিরপেক্ষ, অকুতোভয়, সত্যবাদী,অনুপম চারিত্রিক মাধুর্য দিয়ে শিক্ষার্থীর মন জয় করা,নিজস্ব চিন্তা-চেতনা, ব্যক্তিত্ব, মেধা যোগ্যতা, মননশীলতা আর আধুনিক প্রযুক্তির প্রয়োগে শ্রেণির কার্যক্রম পরিচালনা করা,শ্রেণি শিক্ষকের মধ্যে থাকতে হবে উদ্ভাবনী ক্ষমতা, নতুন কিছু সৃষ্টি করার নিরন্তর প্রচেষ্টা,শিক্ষার্থীর সুপ্ত প্রতিভা বিকাশ ও উন্নয়নের এক অনিবার্য মাধ্যম,ধৈর্যশীলতা হবে একজন শ্রেণি শিক্ষকের অন্যতম প্রধান গুন,প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রীকে আলাদাভাবে চেনার চেষ্টা করা নাম ধরে ডাকা। এতে আন্তরিকতা বাড়ে, পাঠ্য বিষয়ের স্পষ্ট ও বোধগম্য ব্যাখ্যা দেওয়া কঠিন বিষয়গুলো সহজ উদাহরণ ও গল্প দিয়ে বোঝানো চার্ট, চিত্র, অ্যানিমেশন, বাস্তব জিনিস ব্যবহার করা, প্রশ্নোত্তরের পরিবেশ তৈরি করা শিক্ষার্থী প্রশ্ন করলে রাগ না করা, বা ধমক দিয়ে বসিয়ে না দেওয়া প্রশ্ন করার সুযোগ দিতে হবে শিক্ষার্থী যদি কোনো প্রশ্নের ভুল উত্তর দেয়, তবে তাকে অপমান না করা। সংশোধনের মাধ্যমে উৎসাহ দেওয়া। “ভুল করা শেখার অংশ” এই মনোভাব ছড়িয়ে দেওয়া, ইতিবাচক ও হাসিখুশি পরিবেশ বজায় রাখা হালকা রসিকতা ও হাস্যরস থাকলে ক্লাস প্রাণবন্ত হয়। চাপমুক্ত ও বন্ধুসুলভ পরিবেশ শিক্ষার্থীদের মনোযোগ ধরে রাখতে সাহায্য করে, প্রযুক্তির সৃজনশীল ব্যবহার করা প্রেজেন্টেশন, ভিডিও, কুইজের মাধ্যমে শেখানো। অনলাইন রিসোর্স শেয়ার করা যেন শিক্ষার্থীরা অতিরিক্ত পড়তে পারে, মূল্যায়ন ও ফিডব্যাকের গুরুত্ব দেওয়া ছোট ছোট অ্যাসাইনমেন্ট বা কুইজের মাধ্যমে নিয়মিত মূল্যায়ন করা। শিক্ষার্থীদের কাজের উপর গঠনমূলক ফিডব্যাক দেওয়া, নৈতিকতা ও আদর্শের প্রতিফলন ঘটান সময়ানুবর্তিতা, সততা, সহনশীলতা নিজে পালন করা এবং শিক্ষার্থীদের শেখানো শ্রদ্ধাশীল আচরণ করা যাতে শিক্ষার্থীরাও তা শিখে, বিষয়বস্তুর সাথে বাস্তব জীবনের মিল দেখানো। “এই জিনিসটা জীবনে কোথায় কাজে লাগবে?” এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়া,নিয়মিত উপদেশ ও মোটিভেশন দিন শিক্ষার্থীদের অনুপ্রেরণা দেওয়া, আত্মবিশ্বাস তৈরি করা। ব্যর্থতা থেকে শেখার উপদেশ দেওয়া, নতুন নতুন টিচিং মেথড শিখানো। শিক্ষার্থীদের ফিডব্যাক থেকে নিজেকে উন্নত করা। ১৮। শিক্ষার্থীকে কখনো চা বা মার্কার-ডাস্টার নিয়ে আসতে বলা যাবে না। নিজের প্রয়োজনীয় উপকরণ নিজে বহন করতে হবে,কণ্ঠস্বর এক্সপ্রেশন অনুযায়ী ওঠানামা করুন। একই স্কেলে কথা না বলা বাক্যের ধরণ অনুযায়ী স্বর বাড়াতে কমাতে হবে,আই কন্টাক্ট করা অর্থাৎ শিক্ষার্থীর চোখে চোখ রেখে কথা বলা ক্লাসে মোটামুটি সবার সাথে আই কন্টাক্ট করা জরুরি, পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীর খোঁজ খবর নেওয়া তার সমস্যার বিষয়ে জেনে নিজে উদ্যোগী হয়ে সমাধানের চেষ্টা করা।
লেখক : মোঃ ফারুক হোসেন
প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত)
বাগমারা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়