লাকসাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি:
লাকসামে ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বাদী আবদুর রহিম।
সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন
শুক্রবার (২৯ আগস্ট) সন্ধ্যায় লাকসাম চাঁদপুর রেলগেটস্থ মেজ্জন হোটেলে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, স্থানীয় যুবদল, তাতীদল ও জাসাস নেতাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার সঙ্গে তার কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
বাদীর বক্তব্য
আবদুর রহিম বলেন, আদালতে দায়ের করা মামলার আসামি উপজেলা যুবদলের সদস্য কামরুজ্জামান সবুজ, উপজেলা তাতীদলের সভাপতি মোঃ ইউনুস মিয়া এবং পৌরসভা জাসাস সভাপতি মোঃ আবু বক্কর সুমনসহ সবাই নির্দোষ।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, এর আগে বহিষ্কৃত যুবদল নেতা মোঃ সফিউল্যার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির ঘটনায় তিনি থানায় মামলা করেছিলেন। সেই মামলা তুলে নিতে সফিউল্যা ও তার সহযোগীরা ভয়ভীতি, প্রাণনাশের হুমকি এবং প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে তাকে দিয়ে গত ২৫ আগস্ট কুমিল্লার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আরেকটি মামলা করান।
মামলার পটভূমি
গত ৪ মার্চ সকালে লাকসাম বাইপাস বাংগড্ডা সিএনজি স্ট্যান্ডের সামনে থেকে সিএনজি চালক আবদুর রহিমকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে হাউজিং এস্টেট এলাকায় চাঁদা দাবি করেন প্রধান আসামি সফিউল্যা। চাঁদা না দেওয়ায় তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়।
এ ঘটনায় থানায় মামলা হয় এবং গত ২৬ জুলাই সফিউল্যাহকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়। পরে তিনি হাইকোর্ট থেকে জামিনে মুক্তি পান।
নতুন বিতর্ক
জামিনে বের হয়ে সফিউল্যা গত ২০ আগস্ট এক মানববন্ধনে স্থানীয় যুবদল নেতা সবুজ, তাতীদল সভাপতি ইউনুস মিয়া ও জাসাস সভাপতি আবু বক্কর সুমনের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে বিষোদগার করেন। এর প্রতিবাদে ওইদিনই স্থানীয় নেতাকর্মীরা সংবাদ সম্মেলন ও বিক্ষোভ মিছিল করে।
উপস্থিত নেতাদের প্রতিক্রিয়া
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত যুবদল নেতা কামরুজ্জামান সবুজ, তাতীদল সভাপতি ইউনুস মিয়া ও জাসাস সভাপতি আবু বক্কর সুমন বলেন—
“সফিউল্যার অপকর্ম ঢাকতে আমাদেরকে মিথ্যা মামলায় জড়ানো হয়েছে। আজ বাদী নিজেই সংবাদ সম্মেলনে তা স্বীকার করেছেন।”
তারা প্রশাসনের প্রতি সফিউল্যার বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের দাবি জানান।