জি.এম.এস রুবেল, লাকসাম (কুমিল্লা):
লাকসামের ক্রীড়াঙ্গনে এক নতুন দিগন্তের সূচনা হয়েছে লাকসাম ফুটবল একাডেমির উদ্যোগে। এ্যাডভোকেট বদিউল আলম সুজনের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে শুরু হওয়া এ কার্যক্রমকে স্থানীয় ক্রীড়াপ্রেমীরা লাকসামের ফুটবলে “নবজাগরণ” হিসেবে দেখছেন।
শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টা থেকে লাকসাম স্টেডিয়ামে ১৭ বছর বয়সী ফুটবলারদের নিয়ে বাছাই কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে ১৩ সেপ্টেম্বর ১৪ বছর বয়সী খেলোয়াড়দের জন্য বাছাই অনুষ্ঠিত হয়েছিল। দুই ধাপে শতাধিক আগ্রহী ফুটবলার এ বাছাই কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে।
দিনব্যাপী এই বাছাইয়ে অংশগ্রহণকারী খেলোয়াড়দের খেলার দক্ষতা, গতি, কৌশল এবং শারীরিক সক্ষমতা যাচাই করা হয়। প্রাথমিকভাবে নির্বাচিতদের দীর্ঘমেয়াদী প্রশিক্ষণের আওতায় এনে লাকসাম ফুটবল একাডেমি তাদেরকে দক্ষ ও মানসম্পন্ন খেলোয়াড় হিসেবে গড়ে তুলবে।
এ্যাডভোকেট বদিউল আলম সুজন বলেন, “ফুটবল কেবল একটি খেলা নয়, এটি তরুণ প্রজন্মকে সুস্থ, শৃঙ্খলাবদ্ধ ও সৃজনশীল পথে এগিয়ে নেওয়ার অন্যতম মাধ্যম। লাকসামের মেধাবী খেলোয়াড়দের সুযোগ দেওয়া এবং তাদের প্রতিভা বিকাশের লক্ষ্যে এই কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে।”
লাকসাম ফুটবল একাডেমির কর্মকর্তারা জানান, স্থানীয় পর্যায় থেকে প্রতিভাবান ফুটবলার খুঁজে বের করে তাদের নিয়মিত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বড় পরিসরে তুলে ধরাই তাদের মূল লক্ষ্য। তারা আশা প্রকাশ করেন, এ উদ্যোগ লাকসামের ফুটবল অঙ্গনে নতুন গতি সঞ্চার করবে এবং একদিন এখান থেকে জেলা, বিভাগীয় এমনকি জাতীয় পর্যায়ের খেলোয়াড় তৈরি হবে।
ক্রীড়ামোদীরা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে লাকসামে ফুটবল অনুশীলন ও প্রতিযোগিতার ক্ষেত্র সীমিত হয়ে পড়েছিল। তবে এ্যাডভোকেট বদিউল আলম সুজনের হাত ধরে শুরু হওয়া এই উদ্যোগ লাকসামের তরুণ প্রজন্মকে ক্রীড়া চর্চায় পুনরায় যুক্ত করবে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি সুদৃঢ় ভিত্তি গড়ে দেবে।
স্থানীয় ক্রীড়াপ্রেমীরা আশা করছেন, লাকসাম ফুটবল একাডেমির এই যাত্রা সফল হলে খুব শিগগিরই লাকসাম থেকে জাতীয় পর্যায়ের প্রতিভাবান ফুটবলার উঠে আসবে।
আমি টুনামেন্ট অংশগ্রহণ করতে চাই।
কিভাবে করব।